Dhaka ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে ধস, হাহাকার হোটেল ব্যবসায়ীদের!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৯০ Time View

কোলকাতার মিনি বাংলাদেশ নামে পরিচিত সেন্ট্রাল কোলকাতার বাণিজ্যিক এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে ব্যাপক মন্দা চলছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটক কমে যাওয়ায় এলাকাটির ব্যবসা প্রায় ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

হোটেল ও দোকানের মালিকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশি অতিথিরা আসতে না পারায় মারকুইস স্ট্রিট, সাডার স্ট্রিট, ও ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের শতাধিক হোটেলের প্রায় সব কক্ষই খালি। গত বছর এই সময়ে হোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ পূর্ণ থাকলেও, এখন মাত্র ১০-১৫ শতাংশ কক্ষে অতিথি রয়েছেন।

কোলকাতা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মনতোষ সরকার বলেন, আগে ২৬-২৮টি কক্ষে বাংলাদেশি অতিথি থাকলেও, এখন মাত্র চার-পাঁচজন আসছেন। এমনকি ছোট হোটেলগুলোর অনেকেই সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

নিউ মার্কেটের দোকানিরাও ক্রেতার অভাবে বিপর্যস্ত। চকলেট থেকে প্রসাধনী—সব দোকানেই ক্রেতা সংকট। চকো নাট নামে একটি দোকান থেকে দৈনিক সাড়ে ৩ লাখ রুপি বিক্রি কমে মাত্র ৩৫ হাজার রুপিতে নেমেছে। দোকানটির মালিক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, “মেডিকেল ভিসায় আসা দু-একজন ছাড়া বাংলাদেশি ক্রেতা নেই।”

১২৪ বছরের পুরোনো প্রসাধনীর দোকান রয়্যাল স্টোরের মালিক অজয় ​​শ জানালেন, “এলাকার ২৫-৩০ জন বাংলাদেশি ক্রেতার স্থলে এখন মাত্র পাঁচজন আসছেন। ক্রয় ক্ষমতাও কমেছে, আগে যেখানে প্রতিজন ১৫ হাজার রুপি খরচ করতেন, এখন তা নেমে এসেছে ১০ হাজারে।”

এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল এই এলাকার অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কোলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে ধস, হাহাকার হোটেল ব্যবসায়ীদের!

Update Time : ০৩:২৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

কোলকাতার মিনি বাংলাদেশ নামে পরিচিত সেন্ট্রাল কোলকাতার বাণিজ্যিক এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে ব্যাপক মন্দা চলছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটক কমে যাওয়ায় এলাকাটির ব্যবসা প্রায় ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

হোটেল ও দোকানের মালিকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশি অতিথিরা আসতে না পারায় মারকুইস স্ট্রিট, সাডার স্ট্রিট, ও ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের শতাধিক হোটেলের প্রায় সব কক্ষই খালি। গত বছর এই সময়ে হোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ পূর্ণ থাকলেও, এখন মাত্র ১০-১৫ শতাংশ কক্ষে অতিথি রয়েছেন।

কোলকাতা হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মনতোষ সরকার বলেন, আগে ২৬-২৮টি কক্ষে বাংলাদেশি অতিথি থাকলেও, এখন মাত্র চার-পাঁচজন আসছেন। এমনকি ছোট হোটেলগুলোর অনেকেই সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

নিউ মার্কেটের দোকানিরাও ক্রেতার অভাবে বিপর্যস্ত। চকলেট থেকে প্রসাধনী—সব দোকানেই ক্রেতা সংকট। চকো নাট নামে একটি দোকান থেকে দৈনিক সাড়ে ৩ লাখ রুপি বিক্রি কমে মাত্র ৩৫ হাজার রুপিতে নেমেছে। দোকানটির মালিক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, “মেডিকেল ভিসায় আসা দু-একজন ছাড়া বাংলাদেশি ক্রেতা নেই।”

১২৪ বছরের পুরোনো প্রসাধনীর দোকান রয়্যাল স্টোরের মালিক অজয় ​​শ জানালেন, “এলাকার ২৫-৩০ জন বাংলাদেশি ক্রেতার স্থলে এখন মাত্র পাঁচজন আসছেন। ক্রয় ক্ষমতাও কমেছে, আগে যেখানে প্রতিজন ১৫ হাজার রুপি খরচ করতেন, এখন তা নেমে এসেছে ১০ হাজারে।”

এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল এই এলাকার অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।