Dhaka ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীতের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩৩০ Time View

লছে নভেম্বর মাস। বছরের এই সময় থেকেই সাধারণত শীত পরতে শুরু করে। এরইমধ্যে ভোর এবং সন্ধ্যার বাতাসে পাওয়া যাচ্ছে শীতের আগমনী ঘ্রাণ। তবে শীত আসার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তুতি সেরে নেওয়া প্রয়োজন। যেন শীতকালীন সময়ে আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখা যায়।

তাই চলুন জেনে নিই শীতের আগের প্রস্তুতি কেমন হবে-

পোশাক
শীতের তীব্রতা এড়াতে গরম পোশাক যেমন সোয়েটার, জ্যাকেট, স্কার্ফ, মোজা ও উষ্ণ টুপি প্রস্তুত রাখুন। এছাড়া, গরম কম্বল, ব্ল্যাঙ্কেট এবং বিছানার চাদরও শীতের রাতে আরাম দিতে পারে। শীতের পোশাকগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন আগে ভাগেই।

সারা বছর ব্যবহার না করার কারণে তাতে নানা ধরনের জীবাণু জন্ম নিতে পারে। তাই শীত শেষে গুছিয়ে রাখার সময় ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখলেও শীতের শুরুতে আরেকবার ধুয়ে নিন। কিংবা ভালো করে রোদে দিয়ে নিন। যেন জীবাণু মরে যায়। আর এই কাজ শুরু করুন এখন থেকেই।

ঘর পরিষ্কার
শীতের সময় ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে যায় কয়েক গুণে। এর বড় কারণ এসময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। এই ধুলোবালির কারণে বাড়িঘর অপরিষ্কার হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ধুলোবালির মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে দেখা দিতে পারে নানা ধরণের অসুখও। তাই এসময় বাড়িঘর পরিষ্কার রাখাও সমান জরুরি।

ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা লাগাতে পারেন তাতে ঘরে ধুলোবালি কম প্রবেশ করবে। বাড়ির মেঝে, আসবাব, কার্পেট সব নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

ত্বকের যত্ন
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আর শীত আসার আগেই প্রভাব পড়তে শুরু করে ত্বকে। চামড়ার উপরিভাগ ফেটে যায়, ফাটে ঠোঁটও। এসময় ত্বকে রুক্ষভাব দেখা দেয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে শীতের আগে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখা দরকার।

ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, স্নো, পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, লিপজেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল ইত্যাদি কিনে হাতের কাছে রাখুন। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।

ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা
শীতে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। হিটার বা রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া, জানালা ও দরজার ফাঁকফোকর বন্ধ করে ঠাণ্ডা বাতাস যাতে না ঢোকে তা নিশ্চিত করুন।

শীতকালীন খাদ্যাভ্যাস
শীতে শক্তিশালী ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গরম খাবার, যেমন স্যুপ, স্টু, চা, এবং পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আদা চা এবং মধু-লেবুর পানীয়ও উপকারী হতে পারে।

স্বাস্থ্য সচেতনতা
শীতে সর্দি-কাশি এবং ফ্লু বেশি হয়, তাই স্বাস্থ্য সচেতন থাকা জরুরি। প্রয়োজন হলে ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়ে রাখুন। বাইরে থেকে ফিরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শীতের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

Update Time : ০৫:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

লছে নভেম্বর মাস। বছরের এই সময় থেকেই সাধারণত শীত পরতে শুরু করে। এরইমধ্যে ভোর এবং সন্ধ্যার বাতাসে পাওয়া যাচ্ছে শীতের আগমনী ঘ্রাণ। তবে শীত আসার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তুতি সেরে নেওয়া প্রয়োজন। যেন শীতকালীন সময়ে আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখা যায়।

তাই চলুন জেনে নিই শীতের আগের প্রস্তুতি কেমন হবে-

পোশাক
শীতের তীব্রতা এড়াতে গরম পোশাক যেমন সোয়েটার, জ্যাকেট, স্কার্ফ, মোজা ও উষ্ণ টুপি প্রস্তুত রাখুন। এছাড়া, গরম কম্বল, ব্ল্যাঙ্কেট এবং বিছানার চাদরও শীতের রাতে আরাম দিতে পারে। শীতের পোশাকগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন আগে ভাগেই।

সারা বছর ব্যবহার না করার কারণে তাতে নানা ধরনের জীবাণু জন্ম নিতে পারে। তাই শীত শেষে গুছিয়ে রাখার সময় ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখলেও শীতের শুরুতে আরেকবার ধুয়ে নিন। কিংবা ভালো করে রোদে দিয়ে নিন। যেন জীবাণু মরে যায়। আর এই কাজ শুরু করুন এখন থেকেই।

ঘর পরিষ্কার
শীতের সময় ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে যায় কয়েক গুণে। এর বড় কারণ এসময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকে। এই ধুলোবালির কারণে বাড়িঘর অপরিষ্কার হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ধুলোবালির মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে দেখা দিতে পারে নানা ধরণের অসুখও। তাই এসময় বাড়িঘর পরিষ্কার রাখাও সমান জরুরি।

ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা লাগাতে পারেন তাতে ঘরে ধুলোবালি কম প্রবেশ করবে। বাড়ির মেঝে, আসবাব, কার্পেট সব নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

ত্বকের যত্ন
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আর শীত আসার আগেই প্রভাব পড়তে শুরু করে ত্বকে। চামড়ার উপরিভাগ ফেটে যায়, ফাটে ঠোঁটও। এসময় ত্বকে রুক্ষভাব দেখা দেয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে শীতের আগে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখা দরকার।

ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, স্নো, পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, লিপজেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল ইত্যাদি কিনে হাতের কাছে রাখুন। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।

ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা
শীতে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। হিটার বা রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া, জানালা ও দরজার ফাঁকফোকর বন্ধ করে ঠাণ্ডা বাতাস যাতে না ঢোকে তা নিশ্চিত করুন।

শীতকালীন খাদ্যাভ্যাস
শীতে শক্তিশালী ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গরম খাবার, যেমন স্যুপ, স্টু, চা, এবং পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আদা চা এবং মধু-লেবুর পানীয়ও উপকারী হতে পারে।

স্বাস্থ্য সচেতনতা
শীতে সর্দি-কাশি এবং ফ্লু বেশি হয়, তাই স্বাস্থ্য সচেতন থাকা জরুরি। প্রয়োজন হলে ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়ে রাখুন। বাইরে থেকে ফিরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।