
গোপালগঞ্জ কন্ঠ রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিস পরিণত হয়েছে ঘুৃষ-দুর্নীতির আখড়ায়। এ রেজিষ্ট্ররী অফিসেই কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জমি রেজিস্ট্রেশন, দলিল সম্পাদন, নকল উঠানো, রেকর্ড তল্লাশি, সংশোধন, এমনকি জমির শ্রেণি পরিবর্তনের নামে ঘুষ গ্রহণসহ বিস্তর দুর্নীতি এবং নানাভাবে সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। অপকর্মে পিছিয়ে নেই নকল নবিশ, দলিল লেখক ও দৈনিক হাজিরায় কাজ করা উমেদারসহ বহিরাগত দালালরাও। কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগকরা ‘উমেদার-মোহরার সিন্ডিকেট’ই মূলত নিয়ন্ত্রণ করছে রেজিস্ট্রি অফিসের ভূমিসংক্রান্ত কার্যক্রমসহ ঘুষের নেটওয়ার্ক। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কখনো অস্তিত্বহীন ব্যক্তিকে মালিক সাজিয়ে ভুয়া কমিশনে দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জমি প্রভাবশালীদের লিখে দিচ্ছে তারা। দিনের বেলা অফিসের কর্মঘণ্টাতেই শুধু নয়,রাতেও এ দপ্তরে চলে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা। স্থানীয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় থাকা এ চক্রের সদস্যদের খুঁটি এতটাই শক্ত যে, জালিয়াতি করে জমি রেজিষ্ট্রারী করার পরও দলিল লেখকের লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও রীতিমতো অফিস করছেন তারা। এসব জেনেও নিশ্চুপ উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা। জাল-খাড়া দলিল সম্পাদনের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এ চক্রের সদস্যরা। তাদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। নিরীহ সেবা প্রত্যাশীদের অভিনব প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। গত ১ বছরে প্রায় ১০ টি জাল দলিলের খবর পাওয়া গেছে। অনেকে লাইসেন্স বাতিল হয়েছে আবার তারা সাব রেজিষ্টারী অফিসের অফিসারকে ম্যানেজ করে আবার লাইসেন্স ফিরে পেয়ে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
Reporter Name 









