
গোপালগঞ্জ কন্ঠ রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাম্পিং স্কিন (এলএসডি) রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত পশুর মাংস বিক্রি করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার সদর টেংরাখোলা বাজার,বনগ্রাম,বাটিকামারী অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগলে মাংস। দামেরও রয়েছে ব্যাপক তারতম্য। উপজেলা প্রাণী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহিত করার মাধ্যমে পশু জবাই করার নিয়ম থাকলেও মুকসুদপুরের বাজারের ব্যবসায়ীরা তা অনুসরণ করেন না। নেই প্রশাসনিক নজরদারি। তারা নিজেদের খুশি মতো পশু জবাই করে দেদারসে বিক্রি করছেন।
গত এক মাসের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যেখানে মাংস বিক্রি করা হয়, সে জায়গাটা সবসময় স্যাঁতসেতে থাকে। সেখানে মূল্য তালিকা টাঙানো নেই, যার কাছে যেমন পাচ্ছে বিক্রি করছে। সকালে জনসম্মুখে পশু জবাইয়ের কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা অনুসরণ না করে ভোর রাতে জবাই করে থাকেন। এ কারণে অনেক ক্রেতা ষাড়ের মাংস ভেবে গাভি গরুর মাংস কিনে ঠকছেন।
উপজেলার কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, লাম্পিং স্কিন আক্রান্ত অসুস্থ গরুগুলো বাজারে নিলে কেউ কেনে না। তখন (কসাই) মাংস ব্যবসায়ীদের খবর দিয়ে অর্ধেক দামে বা তার চেয়ে কম দামে দিয়ে দেয়। গভীর রাতে এগুলো জবাই করে বাজারে কম দামে বিক্রি করে। এতে করে আমরা মাংস কিনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছি। এগুলো খোঁজ নেওয়া কেউ নেই।
মহারাজপুর এলাকার বাসিন্দা ইকরাম শেখ বলেন, বাড়িতে অনুষ্ঠান। মাংস কিনে বাড়িতে এনে দেখি ৩০ কেজি মাংসের মধ্যে ১০ কেজি ফ্রিজের মাংস (২-৩ দিন আগের মাংস) দিয়ে দিয়েছে। অথচ আমাকে বলেছে আজকেই জবাই করেছি। এ ধরনের মাংস কিনে সাধারণ ক্রেতারা একদিকে যেমন ঠকছেন, তেমনি পড়ছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এ ব্যাপারে শক্তিশালী বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন ও প্রশাসনিক তদারকি জোরদারের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিষয়ে কয়েকজন মাংস বিক্রেতা জানায়, আমরা গরু জবাই করার আগে ছবি তুলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মোবাইলে পাঠাই। তারা আমাদের কোনো কাগজ পত্র দেয় না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি জানায় আমি ফিল্ডে বিষয়টি আমার জানা নাই।
Reporter Name 









