Dhaka ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোবিপ্রবি’র শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’, ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৬ Time View

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আইন বিভাগের সভাপতি ড. রাজিউর রহমানকে আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে একটি পত্রিকায় ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার দুপুর ১২টায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন।

ঘন্টাকালব্যাপী এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘চক্রান্তকারীদের জায়গা বিশ^বিদ্যালয়ে হবে না’ , ‘মিথ্যাচারের জায়গা গোবিপ্রবি’তে হবে না’, ‘আইন বিভাগের অহংকার রাজিউর রহমান’, ‘মব সৃষ্টির পায়তারা রুখে দেও’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী খন্দকার রামিন হোসেন বলেন, ‘আইন বিভাগের সভাপতি রাজিউর রহমান একজন ন্যায় পরায়ণ মানুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার থাকেন। হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে চক্রান্তকারীরা। মব সৃষ্টি করে আমাদের প্রাণ প্রিয় শিক্ষককে নাজেহাল ও কোনঠাসা করাই তাদের উদ্দেশ্য। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান তানভীর বলেন, ‘বিশ^বিদ্যলয়ে মব কালচার প্রমোট করে প্রতিবাদী শিক্ষকদের দমানোর অপচেষ্টা চলছে। শিক্ষকদের মধ্যে যারা বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করেন ও ন্যায্য কথা বলেন ওইসব শিক্ষকদের স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। রাজিউর রহমান একজন প্রতিবাদী শিক্ষক। অন্যায়ের কাছে তিনি কখনও মাথা নত করেন না। যাতে কেউ তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে না পারে। আমরা চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শিবলু মাহমুদ, শেখ নাঈমা আক্তার, ফাহিদ, জয় মজুমদার, মো. রাফি, মেহেদী হাসান, শাহ মিনহাজ, ঈষিতা, জনি তালুকদার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট একটি পত্রিকায় বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি ড. রাজিউর রহমানকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা উল্লেখ করে পদোন্নতি লাভসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করা হয় তার বিরুদ্ধে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গোবিপ্রবি’র শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’, ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৭:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আইন বিভাগের সভাপতি ড. রাজিউর রহমানকে আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে একটি পত্রিকায় ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার দুপুর ১২টায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন।

ঘন্টাকালব্যাপী এ মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘চক্রান্তকারীদের জায়গা বিশ^বিদ্যালয়ে হবে না’ , ‘মিথ্যাচারের জায়গা গোবিপ্রবি’তে হবে না’, ‘আইন বিভাগের অহংকার রাজিউর রহমান’, ‘মব সৃষ্টির পায়তারা রুখে দেও’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী খন্দকার রামিন হোসেন বলেন, ‘আইন বিভাগের সভাপতি রাজিউর রহমান একজন ন্যায় পরায়ণ মানুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার থাকেন। হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে চক্রান্তকারীরা। মব সৃষ্টি করে আমাদের প্রাণ প্রিয় শিক্ষককে নাজেহাল ও কোনঠাসা করাই তাদের উদ্দেশ্য। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান তানভীর বলেন, ‘বিশ^বিদ্যলয়ে মব কালচার প্রমোট করে প্রতিবাদী শিক্ষকদের দমানোর অপচেষ্টা চলছে। শিক্ষকদের মধ্যে যারা বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করেন ও ন্যায্য কথা বলেন ওইসব শিক্ষকদের স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। রাজিউর রহমান একজন প্রতিবাদী শিক্ষক। অন্যায়ের কাছে তিনি কখনও মাথা নত করেন না। যাতে কেউ তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে না পারে। আমরা চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শিবলু মাহমুদ, শেখ নাঈমা আক্তার, ফাহিদ, জয় মজুমদার, মো. রাফি, মেহেদী হাসান, শাহ মিনহাজ, ঈষিতা, জনি তালুকদার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট একটি পত্রিকায় বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি ড. রাজিউর রহমানকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা উল্লেখ করে পদোন্নতি লাভসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করা হয় তার বিরুদ্ধে।