
গোপালগঞ্জ কন্ঠ রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে রাস্তা বন্ধ করায় দুই শতাধিক পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মোসারফের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নিজের অপরাধ লুকাতে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মুকসুদপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড প্রভাকরদী গ্রামের প্রায় দুইশত পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারছে না ভুক্তভোগীরা। তিনি তার বাড়ির সামনের একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এতে প্রায় দুইশত পরিবার পড়েছে বিপাকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়। পৌরসভার কলেজ মোড়ের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে ২’শ মিটার ইটের রাস্তা মোসারেফের বাড়ির সীমানা পর্যন্ত নির্মান হয়েছে। তিনি তার জায়গা না ছাড়ার কারণে রাস্তাটি আর সামনে এগুতে পারেনি । যে কারনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, মোসারেফের বাড়ির সাথে মোনায়েমের জায়গার সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়ে, জোর পূর্বক ঘর উত্তোলন করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
একই গ্রামের হালিম খানের ছেলে মোনায়েম খান বলেন, রাস্তা দেওয়ার কথা বলার কারনে, আমার জায়গার সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েছে এবং আমার জায়গাসহ নতুন করে জোর পূর্বক ঘর উত্তোলন করেছে। আমার জায়গার ফলের গাছসহ কয়েকটি গাছ কেটে নিয়েছেন। বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও সে কোন ভাবেই আমার জায়গা ছাড়ছে না। এছাড়া রাস্তাও দিচ্ছে না। এতে এলাকায় আমরা যারা বসবাস করছি সবাই চরম দূর্ভোগে আছি।
একই গ্রামের সালেহা বেগম বলেন, আমাদের পরিবারের লোকজন অসুস্থ্য হলেও জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কাঁদা পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। মোসারেফের বাড়ির পাশে রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিলে আমরা অনেক শান্তিতে চলাচল করতে পারতাম।
প্রতিবেশী রাহেলা বেগম বলেন, একটা লোকের জন্য সমস্যায় পড়ে আছি । আমারা চলাচলের জন্য রাস্তা চাই।
ভ্যান চালক জাবেদ জানান, একটু জায়গা ছাড়লেই আমরা সুন্দর করে ভ্যান চালিয়ে যেতে পারতাম। অনেকটা রাস্তা ঘুরে গেলেও কাঁদা পানির জন্য যাতায়াতে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে মোসারেফের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।